Wednesday, June 18, 2008

Rainshine

আজ মেঘে মেঘে রঙধনুর আসল মর্ম বুঝতে পেরেছি বিকাল চারটার দিকেমন খারাপের ঠেলায় যখন ট্রেনের জানালা দিয়ে চোখ বের করে মেঘের ওপর রাখলাম, তখনগত কয়েকদিনের বৃষ্টির পর সূর্য্য উঠেছিলো, আর স্পষ্ট সাতটা রঙের ছোট্ট এক টুকরো রঙধনু বের হয়েছিলোআমার দুটো সীট পেছনে একটা বাঙালি মহিলা তার স্বামীকে বেনিআসহকলার ইংরেজী শেখাচ্ছিলো'স্কাইব্লু...ইয়েলো..', 'আ-তো স্কাইব্লু-ই হবে, না?'

মেঘগুলোও কেমন যেন কাব্যিক ভাব নিয়ে বসে ছিলোআর মনে হচ্ছিলো আসলেই আগুন ঝরে ঝরে পড়ছেমাঝে মাঝে রঙধনুটা মেঘের পেছনে হারিয়ে যাচ্ছিলো আর আমার ঘুম ঘুম চোখ নির্ঘুম হয়ে সেটাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলোতারপর খুঁজে পাওয়ার একটু পরেই আবার হারিয়ে ফেলছিলো

আজকে অংক পরীক্ষার আগে মনে হচ্ছিলো আমি খারাপ ছাত্রীদের দলে ঢুকে পড়েছিপরীক্ষার কয়েক ঘন্টা আগে কনফিউশনে ভুগি, অথচ কনফিউশনটা আমাকে অত চিন্তিত করছিলো নাআরও বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে, আমি এবার পড়াশুনা করেছিলাম টেস্টটার জন্যতার একটাই অর্থ: আমার মগজ দলা পাকানো কাগজে ভর্তি হয়ে ইন্টেলেকচুয়ালিটির চুমুর অভাবে ঘুমুচ্ছেকিন্তু সেটাকে জাগাবো কিভাবে বুঝতে পারছি নাজাগাতে খুব ইচ্ছে করছে, কিন্তু অলসতার জন্য উপায় খুঁজেও বের করতে পারছি না

1 comment:

  1. বেশ মজা পেলাম তোমার লেখা পড়ে।"আ" তে আকাশী বোঝায় তাই স্কাইব্লুই ঠিক আছে মনে হচ্ছে।তোমার মগজকে জাগানোর কোনও উপায় বের করতে পারলে কিনা জানিও,আমার মগজ যে সেই বরফযুগে ঘুমিয়েছে তাও ওঠার নাম নেই।আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হচ্ছি তোমার এত শুদ্ধ বাংলা বানান দেখে!!সত্যি,আমি মাঝে মাঝে অনেক বানান ভুলে যাই আজকাল।লিখে লিখে চর্চা রাখার চেষ্টা করি তবে।

    ReplyDelete